টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪০ রান তুলেছে স্কটিশরা। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন স্কটিশ ব্যাটসম্যান ক্রিস গ্রিভস। টাইগার বোলার শেখ মেহেদী নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তের পূর্ণ ব্যবহার করেন টাইগার বোলারররা। ইনিংসের শুরুতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগার বোলাররা নিজেদের ক্লাস দেখাতে থাকে।
স্কটল্যান্ডের হয়ে ব্যাটিংয়ে ওপেন করতে আসেন জর্শ মানশি ও কাইল কোয়েটজার। বাংলাদেশের হয়ে বোলিং আক্রমণে আসেন স্পিড মাস্টার তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত বোলিং করেন তিনি। এ ওভারের প্রথম চার বলে পরাস্ত হওয়ার পঞ্চম বলে স্কয়ার দিয়ে দুর্দান্ত চার মারেন মানশি।
দ্বিতীয় ওভারে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের বল খেলতেই পারছিলেন না স্কটিশরা। এ ওভার থেকে আসে মাত্র একরান তাও লেগ বাই থেকে।
বাংলাদেশের সাফল্য আসে তৃতীয় ওভারে। বল করতে এসেই উইকেটের দেখা পান মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। ওভারের চতুর্থ বলে দারুণ এক ইয়র্কারে ফেরান স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারকে।
চতুর্থ ওভারে উইকেট পেতে পেতেও পাননি তাসকিন। ওভারে দ্বিতীয় বলে ক্যাচ উঠেছিল, স্কয়ার লেগ থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচ নিয়েও ফেলে দেন সাকিব। তবে ক্যাচটা নিতে পারলেও উইকেট হারাত না স্কটিশরা। কারণ তাসকিনের সে বলটি হয়েছিল নো।
নিজের প্রথম ওভারে মেডেন হলেও ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এসে ১৩ রান দেন মোস্তাফিজ। উইকেটের আশায় সাকিবকে সফলতা পায়নি বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওভার থেকে মাত্র ৫ রান দেন সাকিব।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে শেখ মেহেদীকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক। বল করতে এসেই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন তিনি। নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন দুই দুইটি উইকেট। ওভারের দ্বিতীয় বলে ১৭ বলে ১১ রান করে এলবিডবলিওর ফাঁদে পড়েন তিনি। এই ওভারে পঞ্চম বলে গ্রেগরিকে বোল্ড আউট করেন তিনি। আউট হওয়ার আগে দুইটি করে চার ও ছয়ে ২৩ বলে ২৯ রান করেন তিনি। দশ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান করে স্কটিশরা।
ইনিংসের এগারতম ওভারে আফিফের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করে বেরিংটনকে আউট করেন সাকিব। একই ওভারে আরেকটি উইকেট নেন তিনি। লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে কোনো রান করেই সাজঘরে ফিরেন মিচেল লিয়েস্ক। এরই মাধ্যমে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হয়ে যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
পরের ওভারে এসে আরেকটি উইকেট তুলে নেন মেহেদী। ক্যালাম ম্যাকলিয়ডকে ৫ রানে বোল্ড করেন তিনি।
৬ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মার্ক ওয়াট ও ক্রিস গ্রিভস। দুইজনের ৩৪ বলে ৫১ রানের জুটি ভাঙ্গেন তাসকিন। তবে সে ওভারে দুইটি চার ও একটি ছয়ে ১৫ রান তুলে নেয় গ্রিভস।
শেষ ওভারে ফিরেন দুর্দান্ত বল করেন মোস্তাফিজ। টানা দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাট্রিকের আশা জাগান তিনি। শেষের দিকে জশ ড্যাভি ও সাফইয়ান শরিফ উভয়ের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান করে।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান করতে পারে স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী হাসান নিয়েছেন তিন উইকেট। সাকিব ও মোস্তাফিজের শিকার দুইটি করে উইকেট। এছাড়া সাইফউদ্দীন ও তাসকিন নিয়েছেন একটি করে উইকেট।